খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২২তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিলো প্রীতি সমাবেশ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধন, আনন্দ শোভাযাত্রা, অডিটোরিয়ামে ‘কুয়েটের অর্জন, অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ বিষয়ে প্রেজেন্টেশন, আলোচনা সভা, বৃক্ষরোপণ, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন বিভাগের ল্যাবসমূহ উন্মুক্তকরণ-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
সকালে প্রশাসনিক ভবন চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের উদ্বোধনকালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাকসুদ হেলালী বলেন, কুয়েটের সম্মান রক্ষা, এর বিকাশ ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে। কুয়েট বাংলাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী-সহ সকলের অসীম অবদান। এই অবদানকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা করে আমরা আরো এগিয়ে যাবো এবং দেশ ও দশের সেবায় নিয়োজিত থাকবো।
তিনি আরও বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হওয়ার পরে জ্ঞান, উচ্চশিক্ষা, গবেষণা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশ্বের রোল মডেল হয়ে উঠছে। বাংলাদেশের মধ্যে কুয়েট একটি স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, আমাদের অনেক অ্যালামনাই বিভিন্ন জায়গায় দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের কাছে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন এলজিইডি’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (অব.) বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম। এসময় কুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, পরিচালক, হল প্রভোস্টগণ, দপ্তর ও শাখা প্রধানগণ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ইন্সিটিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) এবং ১ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ২২তম বর্ষ উদযাপন করেছে কুয়েট।
বিকালে শিক্ষক-কর্মকর্তা বনাম ছাত্রদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, বাদআছর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল ও সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে